সংক্ষেপে : ডাইসফোরিক মিল এক্সপেল রিফ্লেক্স (D-MER) হল স্তনের দুধ ওঠার ঠিক আগেই অনুভূত হওয়া নেতিবাচক আবেগের ঢেউ, যেমন দুঃখ বা উদ্বেগ। এটি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নয়, বরং ডোপামিনের হঠাৎ পতনের সাথে সম্পর্কিত একটি শারীরবৃত্তীয় রিফ্লেক্স। এই নিবন্ধটি এর কারণ, লক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করে, যাতে একটি শান্তিপূর্ণ স্তন্যপান করা যায়।
D-MER-এর লক্ষণ এবং অনুভূতি চিনে নেওয়া
D-MER-এর লক্ষণগুলো হল একটি তাৎক্ষণিক এবং তীব্র নেতিবাচক আবেগের ঢেউ, যা স্তনজোড়া তৎক্ষণাৎ আগে কয়েক সেকেন্ডে শুরু হয়। মা-রা প্রায়ই গভীর দুঃখ, উদ্বেগ, রাগ বা এমনকি ঘৃণা অনুভব করেন। এই ডিসফোরিয়া শারীরিকভাবেই ঘটেঃ সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায় এবং দুধ প্রবাহ শুরু হওয়ার পর ফুরিয়ে যায়।
এই আবেগের পরিসর বিস্তৃত — চিঁচকিহীন বিরক্তি থেকে একটি অত্যাধিক শূন্যতার অনুভূতি বা অজানা নস্টালজিয়াও হতে পারে। এটি দুধ খাওয়ানো বিরোধিতা—যেখানে শিশুর স্পর্শের প্রেক্ষিতে বিরতি ঘটে এবং পুরো খানাকাটা সময়কাল ধরে চলতে পারে—এর সাথে মিশানো যাবে না। D-MER একটি অনৈচ্ছিক হরমোনাল প্রতিক্রিয়া, এবং এটি শিশুকে প্রত্যাখ্যান করার ইচ্ছা নয়।
নির্ধারণ করার জন্য, আবেগের সময়কাল পর্যবেক্ষণ করুন। যদি এটি নিয়মিতভাবে প্রতিটি মিল্ক ইজেকশন-এর ঠিক আগে দেখা যায় (চাকনা টানার সময় বা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়ায়ও) এবং দ্রুত ম্লান হয়ে যায়, তবে এটি সম্ভবত D-MER। এই পুনরাবৃত্তিমূলক ধাঁচ চিনে নেওয়াই এই বিভ্রান্তিকর ঘটনার প্রথম ধাপ—এবং এটি ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।
দুধ ওঠার প্রথম কয়েক সেকেন্ড ছিল এক গভীর শূন্যতা। একচিলতে নিঃসৃত দুঃখ, যা রক্ত জমাট করে ধরে তারপর অদৃশ্য হয়ে যায়। আমি ভেবেছিলাম এটা স্তন্যদান বিরক্তি, কিন্তু এটি ছিল একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া, একটি বিভ্রান্তিকর গোপন।
—সারাহের সাক্ষ্য, এক তরুণ মা
লৌকিক কারণগুলো: ডোপামিন হ্রাসের তত্ত্ব
D-MER কোনো মানসিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি একটি শুধু শারীরবৃত্তীয় রিফ্লেক্স. প্রধান তত্ত্বটি ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা ঘিরে আবর্তিত — ডোপামিন প্রোল্যাক্টিন উৎপাদনকে বাধা দেয়। দুধ ওঠার মুহূর্তে ডোপামিনের মাত্রা হঠাৎ করে নেমে গেলে প্রোল্যাক্টিন কাজ করতে পারে। এই হরমোনাল সম্পর্কই এই ঘটনাটির মূল।
প্রভাবিত মায়েদের ক্ষেত্রে এই ডোপামিনের পতন অস্বাভাবিকভাবে তীব্র বা অতিরিক্ত হতে পারে। এই হঠাৎ পতন সাময়িক কষ্টকর নেতিবাচক আবেগ, অর্থাৎ ডিসফোরিয়া, তৈরি করে যা কেবল কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। এই মেকানিজমটি বোঝা অপরাধবোধ কমাতে এবং এই ব্রেস্টফিডিং-এ অনীহা-র মতো অন্যান্য সমস্যাগুলো থেকে ভিন্ন করে চিনতে সাহায্য করে।

Tableau comparatif : D-MER vs. Baby Blues vs. Dépression Post-partum
| Critère | Réflexe d’Éjection Dysphorique (D-MER) | Baby Blues | Dépression Post-partum |
|---|---|---|---|
| Déclencheur | দুধ নির্গমনের প্রতিক্রিয়া (ল্যাকটেশন ইজেকশন)। প্রতিদিন একাধিক বার, প্রতিটি চুষা বা পাম্পিংয়ে ঘটে। | কোন নির্দিষ্ট বা পুনরাবৃত্ত ট্রিগার নেই। প্রসবোত্তর হরমোনাল পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত। | পটভূমির অবস্থা, কোন তাত্ক্ষণিক বা স্পষ্ট ট্রিগার নেই। |
| Durée | খুব সংক্ষিপ্ত। নেতিবাচক আবেগের ঢেউ সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ২ মিনিট স্থায়ী হয়। | অস্থায়ী। প্রসবের পর ১০ দিনের মধ্যে দেখা যায় এবং ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় না। | দীর্ঘস্থায়ী। ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে টিকে যায় এবং যথাযথ সহায়তা ছাড়া মাসҳо ধরে থাকতে পারে। |
| Nature des symptômes | হঠাৎ ও তীব্র আবেগহ্রাস (দুঃখ, উদ্বেগ, রাগ) যা দুধ নিঃসরণ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তত্ক্ষণাত্ বিলীন হয়ে যায়। | মেজাজ ওঠা-নামা, সহজে কাঁদা, বিরক্তি, উদ্বেগ। সুখের মুহূর্ত ও সুস্থ অনুভূতিও থাকতে পারে। | গভীর দুঃখ, আগ্রহ হ্রাস (অ্যানহিডোনিয়া), অপরাধবোধ, ঘুম/খাবারে সমস্যা। কখনো কখনো স্তন্যপান-বিরাগও দেখা দিতে পারে (বিস্তারিত)। |
Stratégies de gestion immédiates
Lorsque la vague d’émotions négatives survient, l’objectif est de détourner votre attention. Concentrez-vous sur un point précis, écoutez de la musique ou engagez une conversation. La pratique de la pleine conscience, en se focalisant sur votre respiration ou les sensations de votre bébé contre vous, peut aussi aider à traverser ces quelques secondes difficiles. L’important est de ne pas subir passivement cette dysphorie.
Préparer votre environnement peut faire une grande différence. Ayez toujours un grand verre d’eau et une collation nutritive à portée de main avant la tétée. Ce simple rituel de confort aide à réguler votre corps et votre esprit. Comprendre la nature de ce réflexe d’éjection dysphorique est la première étape pour mieux le gérer. Ces gestes simples peuvent atténuer l’intensité des symptômes.
দীর্ঘমেয়াদী সমাধান ও সহায়তা
দীর্ঘ সময় ধরে রিফ্লেক্স ডাইসফোরিয়াকে পরিচালনা করার জন্য তথ্যই সবচেয়ে বড় সহায়ক। এটি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া, মানসিক ব্যাধি নয়—এটি বোঝা জরুরি। একটি গুণগত বিশ্রাম এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস হরমোন স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। লক্ষণ স্থায়ী হলে পেশাদার সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য। কৌশল এবং সহানুভূতিশীল সহায়তার জন্য একটি IBCLC ল্যাকটেশন কনসালট্যান্ট বা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন।
Foire Aux Questions sur le Réflexe d’Éjection Dysphorique
Le réflexe d’éjection dysphorique (D-MER) est-il fréquent ?
D-MER-এর সঠিক প্রাদুর্ভাব এখনও ভালোভাবে জানা নেই কারণ এটি প্রায়ই কম নির্ণীত হয় বা পরবর্তী জন্মপরবর্তী মনের সমস্যার সঙ্গে ভুলে ধরা হয়। তবু, বেশি করে মা–রা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন, যা ইঙ্গিত দেয় এটি যতটা ভাবা হয় তার চেয়ে বেশি সাধারণ হতে পারে। অনেক নারী এই নেতিবাচক অনুভূতিগুলো অনুভব করেন কিন্তু জানেন না যে এটি একটি বাস্তব শারীরবৃত্তীয় ঘটনা: রিফ্লেক্স ডি-ইজেকশন ডিসফোরিক।
Mon bébé est-il affecté par mon D-MER ?
না, এবং এটি আপনাকে নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার শিশুটি আপনার অনুভূত নেতিবাচক তরঙ্গ অনুভব করে না। D-MER একটি অভ্যন্তরীণ, শুধু শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া এবং খুব সংক্ষিপ্ত (৩০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট)। আপনার শিশুটি কেবল দুধ আসা অনুভব করে। যতক্ষণ D-MER আপনার পক্ষ থেকে প্রত্যাহারের আচরণ করে না, ততক্ষণ তার উপর সরাসরি কোনো প্রভাব নেই।
Le D-MER peut-il disparaître tout seul ?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। D-MER ধীরে ধীরে খারাপ থেকে ভালোতে চলে আসে এবং মাসের পর মাসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিঃসৃত হতে পারে, সাধারণত ৩ থেকে ৯ মাসের মধ্যে, যখন হরমোনের ভারসাম্য স্থিতিশীল হয়। কিছু মায়ের ক্ষেত্রে এটি সমগ্র স্তন্যপানের সময়ও থাকতে পারে কিন্তু তীব্রতা কম থাকে। এই ঘটনার জ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার কৌশল অপেক্ষাকৃতভাবে bunu সহ্য করতে সাহায্য করে।
Elles ont vécu le D-MER : Partages d’expériences et conseils
Note globale des stratégies : 4.5 sur 5
Sophie, maman de Léo : “শুরুতে আমি নিজের কথা শোনায় পাগল মনে হয়েছিলাম এবং দায়বোধ অনুভব করতাম, কারণ স্তনরস বের হওয়ার ঠিক আগে তীব্র দুঃখ অনুভব করতাম। এই অবস্থার নাম জানার পরে, D-MER, সব বদলে গেল। যা আমাকে সাহায্য করেছিল: স্তনের দুধ দেওয়ার ঠিক আগে মোবাইলে একটি মজার ভিডিও চালানো। মনোযোগ ভাঙানোই আমার রক্ষা ছিল।”
Laura, maman de Julia : “আমার ক্ষেত্রে এটি ছিল একধরনের তীব্র উদ্বেগ, পেটের মধ্যে কন্ঠকাঠিন্য। আমি শিখেছি পূর্বাভাস করতে। দুধ উঠা শুরু হলে আমি গভীর শ্বাস নিয়ে আমার শিশুর ছোট আঙুলগুলোতে মনোযোগ দিই। এটা কেবল ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হত, এবং সেটা জানলে আমি সহ্য করতে পারতাম।”
Chloé, maman d’Arthur : “সবচেয়ে কষ্টের ছিল বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি। একজন ল্যাকটেশান কনসালট্যান্টের সাথে কথা বলা এবং ব্যাপক তথ্য পড়া আমাকে বোঝায় যে আমি একা নই এবং এটা আমার দোষ নয়। তথ্যই সত্যিই অপরাধবোধ কমিয়ে সামনের দিকে এগোতে সাহায্য করে। আরও পড়তে দেখুন: breastfeeding aversion.”
Comprendre et Gérer le Réflexe d’Éjection Dysphorique (D-MER)
Publié le 9 septembre 2025 par L’équipe Milky Daisy
Le réflexe d’éjection dysphorique (D-MER) est une vague d’émotions négatives survenant juste avant la montée de lait. C’est un réflexe physiologique lié à une chute de dopamine, non un problème psychologique. Cet article explore ses causes, symptômes et les stratégies pour le gérer.
Le contenu de cet article a pour but d’informer et d’accompagner les mères qui vivent cette expérience déroutante, afin de les aider à vivre un allaitement plus serein.
Nous aborderons les différences avec le baby blues et la dépression post-partum, ainsi que des solutions concrètes pour mieux vivre avec le D-MER. Pour en savoir plus sur l’aversion à l’allaitement et son accompagnement, consultez https://milkydaisy.com/en/breastfeeding/breastfeeding-aversion